Header Ads

Header ADS

জোর পূর্বক জমি দখলে নিলে কি করবেন?

 


জোর পূর্বক জমি দখলে নিলে কি করবেন?

বাংলাদেশে জমি বেদখল করা একটি অপরাধপূর্ণ কাজ। কেউ যদি কারো মালীকানাধীন জমি জোর পূর্বক বেখল দেয় তাহলে জমির মালীক আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন এবং অপরাধীর এক বছর থেকে তিন বছরের সাজা হতে পারে বা এক থেকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। এছাড়াও নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

  1. জমি দখলকারীর বিরুদ্ধে দায়ী অপরাধের সূত্রে অভিযোগ করুন:

  2. জমি দখল করার সংক্রান্ত প্রমাণ সহ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন। উক্ত জমির মালিককে আইনগত অধিকার প্রকাশ করতে হবে এবং অপরাধের প্রমাণ সহ অভিযোগ করতে হবে।


  3. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন:

  4. আপনি আপনার এলাকার থানা বা উপজেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে জমি দখল করার সংক্রান্ত অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন। তারা উক্ত অপরাধপূর্ণ কাজের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং সম্প্রতি বিধিমালা মেনে চলার জন্য আপনাকে উপযুক্ত নির্দেশনা দিতে পারেন।

স্থানীয় দরবার বা সালিশী:
গ্রামের বা মহল্লার গণ্য মাণ্য মাতবর ব্যাক্তিদের নিয়ে দরবার ডেকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি দখলদারের বিচার করে প্রকৃত জমির মালীককে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে উক্ত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
  1. আইনগত পদক্ষেপের জন্য আদালতে যাওয়া:

  2. সরাসরি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং আপনার কেসটি আদালতে দাখিল করতে পারেন। এটি কার্যকর করার জন্য আপনার এলাকার আদালতের নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। আদালত আপনার মামলাটিকে শুনানি করে প্রমাণ এবং দলিলপত্রাদির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

আপনি উপরোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে জমি দখল করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতম স্থানীয় সালিশীর মাধ্যমে পূর্বেই আপনার জমি ফিরিয়ে দিতে পারেন। আপনাকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সর্বদা স্বয়ং নিরাপদ থাকা উচিত এবং সাধারণত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইনগত প্রক্রিয়া আপনাকে সহায়তা করবে এছাড়া মারামারি ঝগড়া করে সমস্যার সমাধান হবেনা। তবে, এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাকে নিজেই ব্যবস্থা নিতে হবে আপনার জন্যে সঠিক সময় ও কার্যক্রম নির্ধারণ করে।


তামাদি আইনে জমি দখল বেদখল

তামাদি আইন বাংলাদেশে জমি দখল অথবা বেদখলের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রযোজ্য আইনগুলোর সমষ্টি বোঝায়। তামাদি আইনের অনুসারে, জমি দখল বা বেদখলের মামলা সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হতে পারে:

তামাদি আইনগুলো অনুসরণ করা:

তামাদি আইনে নির্ধারিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে জমি দখল অথবা বেদখলের মামলার সমাধান করতে হবে। আইনে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো মামলার উপর ভিত্তি করে ন্যায্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।

  1. জমি মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা:

  2. জমি দখলের মামলা আপনার বিরুদ্ধে হলে, আপনি তামাদি আইনের অধীনে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট আইনগুলো অনুযায়ী অভিযোগটি দাখিল করার সময় প্রমাণপত্র, সক্রিয় ভূমিকা এবং সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে ১২ বছরের অধিক সময় আপনার দখলে ছিল জমি এর মধ্যে কোন মামলা মোকাদ্দমা হয় নাই উক্ত জমি নিয়ে তার প্রমাণ দাখিল করতে হবে।


  3. আপীল করা:

  4. যদি প্রাথমিক স্তরে সমাধান প্রাপ্ত না হয়, আপনি তামাদি আইন অনুযায়ী আপীল করতে পারেন। আপীল জমি দখলের বিষয়টি উচ্চতর আদালতের সামনে নিয়ে যেতে পারে যাতে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হয়।

তামাদি আইন এবং বিধিমালা জেনে নিতে হবে এবং প্রযোজ্য কর্মকান্ড সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বাসিন্দাদের আইনের অধিকার সম্পর্কে জানার জন্য বা পরামর্শ পাওয়ার জন্য স্থানীয় আইনজীবী বা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ভূমি আইন ২০২৩

শুনা যাচ্ছে ভূমি আইন ২০২৩ এ তামাদি আইন থাকবেনা। ১২ বছর অথবা এর অধিক সময় জমি দখল করে তামাদিত আইনে আদালত থেকে ডিক্রি করার বিধান থাকবেনা। এটি একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসাবে আইন করা হবে। দলিল যার জমি তার।

কোন মন্তব্য নেই

graphixel থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.