Header Ads

Header ADS

রসুন খেলে শারীরিক দূর্বলতার সুস্থতা আনে

রসুন খেলে শারীরিক দূর্বলতার সুস্থতা আনে

ভূমিকা

যখন হাই ব্লাড প্রেসারের কথা আসে বা কোলেস্টেরল কমাতে হবে, আপনার শরীরে অনেক কোলেস্টেরল বেশি, কিন্তু কোলেস্টেরল পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে আপনার হাই ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেছে তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে বা কমাতে হবে, সর্বপ্রথম আমাদের মাথায় আসে ভেষজ বা আমরা যে রান্না করি একটি মসলার নাম সেটি হচ্ছে রসুন, রসুনের যে উপকারিতা তাই আজকে আমরা এখানে লিখব আপনারা আশা করি আমাদের লেখাগুলো পড়বেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, আপনি জানেন কি? গার্লিক বা রসুন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে আমাদের হার্ট কে ভালো রাখার জন্য আমরা যদি নিয়মিত রসুন খাই তাহলে কিন্তু আমাদের হার্ট অনেক ভালো থাকবে।

রসুনের উপকারিতা

যদি আপনি রসুন বা গারলিক নিয়মিত সেবন করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার অনেক উপকারে আসবে আপনার শরীরের। আজ আমি রসুনের কয়েকটি উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন। আশা করি আমরা আজকে আলোচনা করব রসুন কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে খেলে আপনি ম্যাক্সিমাম রসুনের উপকারিতা পেতে পারেন। রসুন আসলে কতটুকু খাওয়া উচিত সেই ব্যাপারে আমরা শেষের দিকে লিখবো আপনারা সেখান থেকে জেনে নিবেন তাহলে আপনারা অনেক কিছু বুঝতে পারবেন রসুন কেন এর উপকারি।


আমরা সবাই জানি যে নিয়মিত রসুন খেলে আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে। আমরা অনেকেই জানিনা যে রসুন খেলে কেন আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে। রসুন খেলে আমাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, আমাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে ব্লাডের মধ্যে যেসকল রক্তের ধমনী রয়েছে সেগুলোর ডাইলেট হয়ে যায় বা প্রসারিত হয়ে যায়, আর রক্তের ধমনি গুলি যখন প্রসারিত হয়ে যায় আর তখন রক্তের ধমনির ওয়ালে প্রেশার কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে আপনি যদি ২টি রসুনের কোয়া তিন মাস প্রতিদিন নিয়মিত খেয়ে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ব্লাড প্রেসার অনেকটা কমে যাবে। তাই আপনি নিয়মিত রসুন খাবেন আর আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন রাখবেন এবং আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।


রসুন আমাদের শরীরে আরেকটি প্রধান কাজ করে সেটি হচ্ছে কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় প্রতিদিন যদি আমরা দুই কোয়া করে রসুন খেতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরে যে খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে সেই কোলেস্টেরলটি কমিয়ে দেয় এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আমরা প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন নিয়মিত খাব। যদি আপনি নিয়মিতভাবে রসুনের কোয়া খেতে পারেন তাহলে কিন্তু লিভারের কার্যক্রমের ফলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।


কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার পরিহার


আপনারা আরেকটি জিনিস জেনে রাখবেন যে, আপনি যদি বাহিরে কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান যেমন গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, চিংড়ি যেগুলো খেলে প্রচুর পরিমাণে শরীরে কোলেস্টেরল হয় সেগুলো কিন্তু রসুন খেলে কমাতে পারবেনা। আপনার শরীরে অতিরিক্ত কলেস্টরেল যেগুলো রয়েছে আপনি নিজে খেয়ে উৎপাদন করবেন সেগুলো কিন্তু রসুনে কমাতে পারবেনা। রসুন খেলেও আপনি কমাতে পারবেন না। কলেস্টরেল যুক্ত খাবার যেগুলো আছে, সেগুলো পরিহার করে তারপরে নিয়মিত রসুন খাবেন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করবে।

রসুন খেলে শারীরিক দূর্বলতার সুস্থতা আনে

রসুন খেলে শরীর ভাল থাকবে


তবে এই জিনিসটি আপনি মনে রাখবেন যে, আপনি রসুন খাচ্ছেন শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর জন্য, তাই আপনি অন্যান্য খাবার যেগুলো কোলেস্টেরল সংযুক্ত রয়েছে সেগুলো পরিহার করবেন। এবং ডায়েট কন্ট্রোল করবেন, তারপরে কিন্তু কোলেস্টেরল আপনার শরীর থেকে রসুন খেলে নিয়মিত কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে রসুন সেবন করতে পারেন তাহলে কিন্তু শরীরের আরও কয়েকটি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। রসুনে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রসুনে বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে আপনার জ্বর হবে না ঠান্ডা লাগবে না আপনার শরীরে এলার্জি জাতীয় কোন রোগ হবেনা। আরো কিছু শরীরে ভাইরাস জনিত রোগ রয়েছে সেগুলো রসুন খেলে কমাতে সাহায্য করবে। সেগুলো ভাইরাস শরীরে অ্যাটাক করতে পারবেনা এবং আপনি সুস্থ থাকবেন তাই নিয়মিত প্রতিদিন রসুন খেয়ে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবেন।


রসুন খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে রক্তে যখন জমাট বাঁধে এবং শরীরে যখন কোলেস্টরেল হয় তখন হার্টের যে রক্তনালী গুলি রয়েছে সেগুলোকে ব্লক করে দেয় সেই রসুন খেলে আপনার ব্লক গুলো আস্তে আস্তে সেরে যাবে এবং আপনার রক্ত চলাচল বাড়বে এবং হার্ট সুস্থ থাকবে। তাই আপনি প্রতিদিন রসুন খাবেন রসুন খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে ।


রসুন খাওয়ার নিয়ম


এখন আপনাদেরকে বলবো কিভাবে রসুন খেতে হয় যে নিয়মে আপনারা রসুন খাবেন সেই নিয়মটি হলো যে, আপনারা প্রতিদিন কাঁচা রসুন যদি খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো, যদি কাঁচা রসুন খান তাহলে কিন্তু একটু ঝাজ লাগবে মুখের ভিতরে, রসুন যখন খাবেন সাথে অল্প পানি খাবেন এভাবে আপনি খেয়ে যাবেন প্রতিদিন। এছাড়া আমরা প্রতিদিন রসুন বিভিন্ন খাবারের সাথে খেয়ে থাকি। আমরা যখন লাঞ্চ, ডিনার অথবা ব্রেকফাস্ট করি সেই সবজি তরকারি এবং বিভিন্ন আইটেমের সাথে রসুন ব্যবহার হয়ে থাকে এবং সেই থেকেও আমরা রসুন খেয়ে থাকি এবং সেখান থেকেও আমরা অনেকটা উপকার পাই। সেটা আমরা নিয়মিত উপকার পাচ্ছি কিন্তু বিভিন্ন খাবারের আইটেমের সাথে।


বিভিন্ন খাবারের আইটেমের সাথে যখন আমরা রসুন খাই তখন কিন্তু রসুনের উপকারিতা একটু কম হয় কিন্তু আমরা যদি রসুন কাঁচা প্রতিদিন দুই কোয়া করে খেতে পারি তখন কিন্তু সেখান থেকে উপকারটা বেশি আসে। তাই আমরা প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন খাব এবং সাথে সাথে অল্প অল্প পানি পান করব। না হলে আপনার মুখের মধ্যে ঝাল আসবে, সেই ঝাল থেকে কিন্তু আপনার রসুনটা খেতে ভালো লাগবে না, তাই প্রতিদিন আমরা এই নিয়মে রসুন খাব এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমরা মুক্ত লাভ করব।


আমরা যদি দীর্ঘদিন রসুন খাই নিয়ম মেনে তাহলে আমাদের শরীরে কোন ভাইরাসের রোগ উৎপন্ন করতে পারবেনা। রসুন খেলে কিন্তু আমাদের শরীরে অনেকটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই রসুনের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে আমরা বিভিন্ন ভাইরাসে আমাদের শরীরে আক্রমণ করতে পারে না বিধায় আমরা কিন্তু রসুনের উপকারিতা পেয়ে থাকি।


আরেকটা জিনিস যারা রসুনের গন্ধ বা রসুনের ফ্লেভার নিতে পারেন না, আপনাদের খারাপ লাগে তাই আপনারা রসুন খেতে পারেন না, তাদের জন্য পরামর্শ হলো আপনারা একটি রসুনের কোয়া নিয়ে রসুনটাকে থেঁতো করে নরম করে আপনারা এক গ্লাস পানির মধ্যে নিয়ে ওষুধের মত খেয়ে ফেলতে পারেন তখন কিন্তু আপনারা সেই বাজে গন্ধ বা ফ্লেভার নাকে আসবে না।


রসুন খেলে শারীরিক দূর্বলতার সুস্থতা


আর যারা শারীরিকভাবে অক্ষম বা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারেন না তাদের জন্য পরামর্শ হলো আপনারা নিয়মিতভাবে দুই কোয়া রসুন খাবেন মধু মিশিয়ে তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে উত্তেজনা বাড়বে এবং আপনার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারবেন। এটা নিয়মিত যদি খান তাহলে সেই উপকারটা পাবেন। আর যদি মনে করেন যে তাৎক্ষণিকভাবে খেলে আমি সেই উপকারটা পাবো সেটা কিন্তু পাবেন না। নিয়মিত রসুন খাওয়ার পর আপন মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে সেই পরিবর্তনের ফলে শরীরের শক্তি যোগাবে তখন আপনার মেলামেশা করতে অসুবিধা হবে না এবং দীর্ঘক্ষণ আপনার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারবেন এবং সংসার সুখের হবে সেইসাথে আপনারা সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন।


রসুন খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে


আমরা সকলেই জানি যে রসুন খেলে অনেক উপকার হয় শরীরে, কিন্তু উপকার যেহেতু হয় সেইজন্য আমরা যদি অতিরিক্ত রসুন খেয়ে ফেলি তখন কিন্তু উপকার হবে না তখন আপনার সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা রসুন অতিরিক্ত খাব না। রসুন আমরা পরিমান মত খাব। খালি পেটে যদি রসুন খাই দুই কুয়া থেকে তিন কুয়ার বেশি তখন কিন্তু লিভারের সমস্যা হতে পারে। আমরা কিছু একটা খেয়ে তারপরে এক দুই ঘন্টা পরে আমরা রসুনের দুই কোয়া খাবো এবং আমাদের লিভার ভালো থাকবে।


আরেকটি জিনিস হলো আমরা যারা হাই প্রেসারের ওষুধ খাচ্ছি পাশাপাশি যদি আমরা রসুনও খাই তাহলে কিন্তু একটু সমস্যা হতে পারে। কারণ হলো রসুন খেলে প্রেসার কমে এবং ওষুধ খাচ্ছি যার ফলে প্রেসারটা কমবে দুইটা জিনিস যদি একসাথে খাই তাহলে কিন্তু লো প্রেসার হতে পারে। তাই আমরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের খাওয়া উচিত, যেহেতু আমাদের শরীর আমাদেরকেই সুস্থ রাখতে হবে আমাদেরকেই সবকিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।


উপসংহার


রসুন খেলে আমরা জানি যে, আমাদের শরীরের অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাই। রসুন খেলে হার্ট ভাল থাকে ডায়াবেটিক ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হার্টের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, চুল পড়া বন্ধ করে, স্কিন ভালো থাকে, লিভার ভালো থাকে ও আরো অনেক ধরনের রোগ ভালো হয়। তাই আমরা নিয়মিত দুই কোয়া রসুন নিয়ম মেনে খাব এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবো।


1 টি মন্তব্য:

graphixel থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.